চিরচেনা রূপে ফিরছে রাজধানীর নিউমার্কেট। দুদিন আগেও রণক্ষেত্রে পরিণত ছিল নিউমার্কেট ও এর আশপাশের এলাকার মার্কেটগুলো। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর ক্রেতাদের আস্থা ধরে রাখতে তৎপর এখন নিউমার্কেট ও চন্দ্রিমা মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
সংঘর্ষে বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার এসব মার্কেট খুলে দেওয়া হয়।
আজ শুক্রবার সকাল থেকেই এ এলাকার মার্কেটগুলোতে দেখা যায় ক্রেতাদের সেই চিরচেনা ভিড়। ঈদ কেন্দ্র করে বেচাকেনা বেশি যাওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানীরা।
নিউমার্কেটের বিভিন্ন দোকানি জানান, শুক্রবার সকাল থেকেই ক্রেতারা ভিড় করতে শুরু করেছে। বিক্রিও হচ্ছে ভালো। ক্রেতাদের উপস্থিতি ধীরে ধীরে বাড়ছে। এর মধ্যে সামনের দিনগুলোতে আর কোনো ঝামেলা ছাড়া নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে চান বলেও জানান তারা।
নিউমার্কেটের একটি দোকানের বিক্রয়কর্মী জুয়েল রানা এক গণমাধ্যমকে বলেন, সমঝোতার পর বৃহস্পতিবার বিকালে দোকান খুলেছিলাম। কিন্তু তেমন ক্রেতা আসেনি গতকাল। আজ শুক্রবার সকাল থেকে বেচাকেনা শুরু হয়েছে। লোকজনের উপস্থিতিও বাড়ছে।
নিউমার্কেট এলাকার বিপণিবিতানগুলো খুলে দেওয়াতে খুশি ক্রেতারাও। ঈদের কেনাকাটা করতে আসা এক ক্রেতা বলেন, অপেক্ষায় ছিলাম যে, কখন ঝামেলা শেষ হবে। পরিবারের সবার জন্য পোশাক কিনতে হবে। বাজেট কম থাকার কারণে চাইলেও বড় বিপণিবিতানে গিয়ে কেনাকাটা করা সম্ভব হয় না। এখানে অল্প টাকার মধ্যে ঘুরে ঘুরে জিনিসপত্র কেনাকাটা করি।
নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক অলোক পাঠান গণমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অনেকের মধ্যেই আতঙ্ক ছিল। এ কারণে অনেকে দোকানও খোলেননি। কিন্তু ভয় কেটে যাওয়ায় লোকজন আসছে। বেচাকেনাও বাড়ছে।
উল্লেখ্য, সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাতে দুই দোকানের কর্মচারীদের মধ্যে বিবাদ থেকে সূত্রপাত হয় ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রণক্ষেত্রে পরিণত হয় নিউমার্কেট এলাকা। এ সংঘর্ষে নাহিদ ও মোরসালিন নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। সংঘর্ষের কারণে ঈদের আগে ভরা মৌসুমে বিপণিবিতানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হতাশ ছিলেন ব্যবসায়ীরা। পরে বুধবার রাতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আলোচনায় সমঝোতা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার কিছু দোকান খুলতে দেখা যায়। তবে শুক্রবার বেচাকেনা দেখা যায় পুরোদমে।